ছাত্র জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ এর পতন
ছাত্র জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ এর পতন
বাংলাদেশের ইতিহাসে একটানা দীর্ঘ সময় ধরে শাসন করা রাজনৈতিক দল হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এই দলের প্রধান বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালের নির্বাচনে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে একক সংখ্যাঘরিষ্টতা অর্জন করে সরকার গঠন করে। কিন্তু পরবর্তী ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ নির্বাচনে তারা বাংলাদেশের জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং বিএনপি সহ অন্যান্য দলকে কোনঠাসা করে রাখে ফলে সকল নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে। এসব কারণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা এবং দলীয় প্রতিক নৌকার প্রতি মানুষের ক্ষোভ দানা বাধতে থাকে কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের বিরোদ্ধে মুখ খুললে বা প্রতিবাদ করলে তার জন্য জেল বা গুম বা হয়রানী ছিল বাধ্যতামূলক।
বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের
নেতাকর্মীদের হত্যা, জেলা বা গুমের স্বীকার হতে হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর অবস্থা
ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা কর্মীদের উপর। জামাত ও শিবিরকে
নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল হিসাবে তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সহ ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থা ছিল খুবই করুন। একচেটিয়া
ক্ষমতা ও আধিপত্যের জন্য বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অসীম ক্ষমতার ও সম্পদের
মালিক হয়। অধিকাংশ নেতাকর্মী ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘোষ ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে এবং
অবৈধ ভাবে অসীম সম্পদের মালিক হয় এবং বিদেশে দেশের অর্থ প্রাচারের প্রতিযোগীতায় লিপ্ত
হয়। দেশের আইন, শাসন ও বিচার বিভাগ ছিল আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা হাতের পুতুল।
ছাত্র
আন্দোলনের
প্রেক্ষাপটঃ
ছাত্র আন্দোলনের শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মাধ্যমে তখন তাদের দাবি ছিল সরকারি চাকরিতে সকল ধরণের
বৈষম্য দূর করা। তাদের দাবি ছিল কোটা সংস্কার কোটার বিরোদ্ধে তারা ছিল না। এই আন্দোলনের
নেতৃত্ব দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ও বর্তমান গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি
নূরুল হক নূর, তার নেতৃত্বে ঢাকা সহ সারাদেশের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে
রাস্তায় নেমে আসে। যার ফলে শেখ হাসিনা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংসদে দাড়িয়ে ঘোষনা
দিলেন যে আজ থেকে কোন কোটা থাকবে না। তার এই ঘোষনা ছিল অনেকটা অবহেলা ও অভিমানের তিনি
মন থেকে এই ঘোষণা দেন নাই। জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের
সমাপ্তি হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের যৌক্তিকতাঃ
বাংলাদেশে সহকারী চাকরিতে নিয়োগের সময় শতকরা ৫৬ ভাগ লোক কোটার মাধ্যামে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার মধ্যে ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি নাতনীদের জন্য বরাদ্ধ। শুধু তাই নয় তাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বয়স বিবেচনা করা হয় ৩০ বছর আর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি নাতনীদের জন্য ৩২ বছর। এই মুক্তিযোদ্ধা ও নারী , এতিম ও প্রতিবন্ধী, উপজাতি, পোষ্য ইত্যাদি কোটা সংস্কারের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। তাদের দাবি কিন্তু কোটা বাতিল না কোটার সংস্কার কারণ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষক বা সাধারণ শিক্ষার্থী আর এই বিশাল জনসংখ্যার জন্য মাত্র ৪৪ ভাগ আসন বরাদ্ধ যার অধিকাংশ আসনে নিয়োগ হয় ঘোষ ও দূর্ণীতির মাধ্যমে।
ফলে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন ছির যৌক্তিক। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের
জন্য বাংলাদেশের সংবিধানে আলাদা কোন কোটার কথা উল্লেখ নেই। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন
হওয়ার পর শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষে সম্মান ও কর্মসংস্থানের জন্য
তাদের এই বিশেষ সুবিধা দিয়েছিলেন। সংবিধানে উল্লেখ আছে শুধু পিছেয়ে পড়া জনগোষ্ঠির জন্য
বিশেষ কোটা রাখার ব্যবস্থা করা। এখন প্রশ্ন হলো স্বাধীনতার ৫০ বছর পর মুক্তিযোদ্ধাদের
নাতি পুতিরা কিভাবে পিছেয়ে পড়া জনগোষ্টি বা বিশেষ কোটা লাভ করে?
বৈষম্যবিরোধি
ছাত্রদের আন্দোলন ২০২৪ এর প্রেক্ষাপটঃ
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর সরকারী চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বন্ধ ছিল। তাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনঃবহাল করার জন্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করে। তাদের করা রিট এতদিন কোন খবর ছিল না কিন্তু ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করেন এবং ভারতের সাথে অনেকগুলো চুক্তি সম্পাদন করেন যা ছিল দেশের স্বার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি সরূপ। যেমন ভারত এখন থেকে বাংলাদেশের রেল ট্রানজিট সুবিধা পাবে। অর্থাৎ ভারতের রেল পন্য বা যাত্রী বহন করে সরাসরি বাংলাদেশের রেল লাইন ব্যাবহার করে নামে মাত্র কর দিয়ে ভাতরের পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার্স এর সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। এটা ছিল ভারতের জন্য খুবই সুবিধার এবং বাংলাদেশের জন্য হুমকির।
তাই সচেতন মহল এই চুক্তির সমালোচনা করতে থাকে,
ভারত শুধু আমাদের থেকে নিয়েই গেল বিনিময়ে বর্ষাকলে দেয় পানি আর শুষ্কমৌসুমে তিস্তা
সহ অন্যান্য বাধ বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশকে তার ন্যয্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। তাই জনগণ এই বিষয়ে সরকারের সমালোচনা শুরু করে। শেখ হাসিনা সরকার
সমালোচনা রোধ করার জন্য নতুন নতুন ইস্যু ও বের করে। ঠিক এই সমস্যা সমাধানের জন্য হাই
কোর্টে করা কোটা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের রিট সবার সামনে নিয়ে আসে। ফলে হাই কোর্ট
মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনঃবহাল করার জন্য রায় প্রধান করে।
বৈষম্যবিরোধি
ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশঃ
কোটা পুনঃবহাল করার রায়কে কেন্দ্র করে আবারো ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রতিবাদি আন্দোলনে নামে। ৭ জুলাই ২০২৪ এই আন্দোলন বাংলা ব্লকেড নামে ব্যাপকভাবে দানা বাধতে শুরু করে। কিন্তু সরকার এই আন্দোলনকে পূর্বের অন্যসব আন্দোলনের মতো সহজ ও স্বাভাবিক মনে করে কোন গুরুত্ব না দিয়ে উসকানী মূলক মন্তব্য করতে থাকে। ১৪ থেকে সারাদেশের ছাত্ররা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে এবং দেশের এক বিরাট অচলাবস্থার সৃষ্ঠি হয়। এভাবে আন্দোলনের প্রভাব সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্র আন্দোলন রোখে দেওয়ার জন্য সরকার পুলিশ বাহিনী ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে। ছাত্রলীগ পুলিশের সাথে মিশে মাথায় হ্যালম্যাট ও লাঠিসোটা নিয়ে আন্দোলন রত সাধারণ ছাত্রদের উপর চড়াও হয়।
১৬ জুলাই রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদকে পুলিশ নির্মম ভাবে প্রকাশ্য গুলি করে হত্যা করে। আবু সাঈদ হত্যার ভিডিও সোলাল মিডিয়ার প্রচার হওযার পর সারাদেশ উত্তাল হয়ে উঠে। বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের মাত্রা যখন চরম আকার ধারণ করে তখন পুলিশ, প্রশাসননের বাহিনী ও ছাত্রলীগ বেপরোয়া হয়ে উঠে আন্দোলন থামাতে যার ফলে সারা দেশে শতশত ছাত্র শহীদ হয়। যা দেশের সাধারণ মানুয়ের মতে আঘাত করে এবং সমাজের সকল স্থরের সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নামে। তখন এই এই আন্দোলন শুধু সাধারণ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সীমাবদ্ধ না থেকে গণ আন্দোলনে রূপ নেয়।
সরকার চাপের মুখে পড়ে যায় এবং শেখ হাসিনা সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে
বলেন যে, “ আমি মুক্তিযোদ্ধার নাতি পুতিদের চাকরি দিবো না তো রাজাকারের বাচ্চাদের চাকরি
দিবো? ” শেখ হাসিনার এই বক্তব্য ছাত্র সমাজ মেনে নিতে পারে নাই। তাই সারাদেশে আন্দোলনে
স্লোগান দেয় “ তুমি কে আমি কে? রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে? স্বৈরাচার স্বৈরাচার”
এই স্লোগানে মুখরিত হয় সারা বাংলার রাজপথ। সরকার ছাত্রদের দামাতে রাবার বুলেট, জলকামান,
হেলিকাপ্টার থেকে গুলি করে। পুলিশ, ছাত্রলীগ সহ সকল সামরিক বাহিনী নামিয়ে দেওয়া হয়
ছাত্রদের দমন করার জন্য।
আন্দোলনের
চাপে কোটা প্রথা সংশোধনঃ
জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে যখন আন্দোলন
কোনভাবেই সামলানো যাচ্ছে না তখন সরকার কোটা প্রথার সংশোধন করেন এবং ৭ ভাগ কোটা ও ৯৩
ভাগ মেধা থোকে নিয়োগ দেওয়ার রায় দেয় আপিল বিভাগ। কিন্তু এই রায় ছাত্রদের পক্ষে গেলেও
এবং তাদের দাবি আদায় হলেও ছাত্ররা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পিছনে মূল
কারণ ছিল সৈরাচার শাসক শেখা হাসিনার একগেয়েমিতা, প্রাথমিক আন্দোলনের সময় যদি ছাত্রদের
সাথে আলোচনা করা যেতো তাহলে এই পরিস্থিতি হতো না। কারণ ছাত্ররা চেয়েছিল কোটা সংস্কার।
তখন আলোচনা করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা যদি ১৫ ভাগ করা হতো তাহলেও ছাত্ররা তা মেনে নিত।
কিন্ত শেখ হাসিনার কথা হলো আমিই সব, আমি দিবো না। এতে করে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের
অধিকার দিতে গিয়ে বরং অপমান করেছেন। আর এই জন্য দায়ী শুধু শেখ হাসিনা এবং তার সরকার
ও সরকারী আমলারা।
ছাত্রজনতার
আন্দোলনে
চুরান্ত রূপঃ
কোটা প্রথার সংশোধন করেও এই আন্দোলন থামাতে ব্যার্থ হয় সরকার। এর মুল কারণ হলো যে ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ যৌক্তিক দাবি সরকার ইচ্ছে করলেই মেনে নিতে পারতো কিন্তু হাসিনা সরকার তা মেনে নেয় নাই। শতশত শহিদের রক্তের বিনিময়ে কেন যৌক্তিক দাবি আদায় করতে হবে এটা কেমন স্বাধীনতা এটা কেমন স্বাধীন দেশ? এই প্রশ্নে আবারো উত্তাল হয় সারাদেশ। ছাত্ররা স্লোগান দেয় আপোষ না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম। তখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বমন্বয়কদের ডিবি পুলিশ প্রধান হারুনুর রশিদ থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
সারজিদ আলম, নাহিদ নাহিদ ইসলাম, আবুল হাসনাত, আসিফ
মাহমুদ, নুসরাত তাবাসুমকে গ্রেফতার করে চাপের মুখে জোড়পূর্বক আন্দোলন থামানোর ঘোষণা
দেয়। কিন্তু সমন্বয়কদের মুক্তি দাবিতে ৯ দফা কর্মসূচীর মাধ্যমে আন্দোলন চলতে থাকে ।
তখন সারা দেশে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে
সারাদেশে সকল প্রকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়। এবং ছাত্রদের উপর অমানবিক অত্যাচার
শুরু করে। শতশত ছাত্র জনতাকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়। ব্যাপক চাপের মুখে সমন্বয়কদের
ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সরকার।
শেখ
হাসিনা ও আওয়ামিলীগ সরকারের পতনঃ
সমন্বয়কদের মুক্তির পর ৯ দফা দাবির
পরিবর্তে ১ দফা দাবি পেশ করে। স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা সরকারের পদত্যাগের জন্য একদফা
দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনে ছাত্র জনতা সহ বিএনপি, জামায়াত, শিবির, হেফজত
সহ দেশের সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থন ও অংশগ্রহন ছিল। ১দফা আন্দোলন দমনের জন্য সারা দেশে
ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ সহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সকাল সন্ধা কারফিও ও জরুরী অবস্থা
জরি করেও আন্দোলন দমন করা সম্ভব হয়নী। ৫ আগষ্ট
ছাত্র জনতা লংমার্চ টু ঢাকা ঘোষণা করে। সেনাবাহিনী লক্ষ্য জনতার মিছিলের এই লংমার্চ
দমন করতে ব্যার্থ হয়। এবং শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। অবশেষে ছাত্রজনতা ও
সেনাবাহিনীর চাপের মুখে ৫ আগষ্ট দুপুর ২টায় শেখ হাসিনা তার বোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে সেনাবাহিনীর
একটি হেলিকাপ্টারে করে দেশ ত্যাগকরে ভারতে আশ্চয় নেয়।
পরিশেষে বলা যায় যে ছাত্র জনতার এই
সংগ্রাম একদিনের ক্ষোভ বা ঘৃণার ফসল না এটা দ্বীর্ঘ ১৬ বছরের মানুয়ের শোষণ ও নিপিড়নের
বহিপ্রকাশ। মানুষের বাক স্বাধীনতা বা গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে শেখ হাসিনা সরকার
দেশের মানুষের উপর এতদিন যে জুলুম ও নির্যাতন চালিয়েছে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘঠেছে ২০২৪
এর ছাত্র জনতার আন্দোলনে। আর এই আন্দোলন আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে আবারো দেখিয়ে দিয়েছে
যে, সকল ক্ষমতার উৎস জনগন এবং কোন স্বৈরশাসক কখনো ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। তাই
আমি আশা করি বাংলাদেশ হবে সুখি সম্মৃদ্ধশালী, সমঅধিকারের উন্নত ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ
।